বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১১

৩৭। শেষ কথা

উৎস: Islam and Dajjal
আল্লাহ(Allah) তার শেষ রসুল বিশ্বনবী মোহাম্মদের (দঃ) মাধ্যমে দ্বীনুল ইসলামের(Islam) যে শেষ সংস্করণটি সমস্ত পৃথিবীর মানুষের জন্য পাঠালেন, যে দ্বীন অনুসরণ করার ফল হিসাবে পাঁচ লাখ জনসংখ্যার একটি নিঃস্ব, নিরক্ষর জাতি তদানিন্তন পৃথিবীর দুইটি বিশ্ব শক্তিকে সামরিকভাবে পরাজিত কোরে অর্দ্ধেক পৃথিবীতে দ্বীনুল হক্ককে প্রতিষ্ঠা কোরেছিলেন, সেই ইসলামের(Islam) মর্মবাণী এই বইয়ে উপস্থাপিত কোরেছি। কে এই আকীদা গ্রহণ কোরে হেদায়াত হবেন কে হবেন না জানি না। কারণ হেদায়াতের ভার আমার ওপর নেই, নবীদের হাতেও ছিলো না, হেদায়াতের শক্তি একমাত্র আল্লাহ(Allah)র হাতে। আমাদের দায়িত্ব শুধু প্রচেষ্টা। সেই প্রচেষ্টায় আমাদের গ্রামে একটি সংগঠন করা হোয়েছে, প্রকৃত ইসলাম(Islam)কে(Islam) প্রতিষ্ঠা কোরতে। নাম দেয়া হোয়েছে হেযবুত তওহীদ। হিয্‌ব শব্দের অর্থ হোচ্ছে দল আর তাওহীদ হোচ্ছে সার্বভৌমত্ব- অর্থাৎ (আল্লাহ(Allah)র) সার্বভৌমত্বের দল। ১৯৯৪ সনের মার্চ মাসে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা হোলেও ইতিমধ্যেই অনেক চিহ্ন পাওয়া গেছে যাতে বোঝা যায় রহমানুর রহীম আল্লাহ(Allah)র সস্নেহ দৃষ্টি এই সংগঠনের ওপর বিরাজ কোরছে। কারণ যখনই কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে, প্রশ্ন আসছে, ঠিক সময়মত তিনি প্রত্যেকটির সমাধান কোরে দিচ্ছেন এবং সে সব সমাধান আসছে তার কোরান তার প্রিয় রসুলের হাদীস থেকে একেবারে অভ্রান্ত সমাধান হয়ে। মনে হচ্ছে যেন আল্লাহ(Allah)ই অলৌকিকভাবে এই সংগঠনের পথ-নির্দেশনা নিয়ন্ত্রণ কোরছেন।

আল্লাহ(Allah)র এই অপার রহমতের বিস্তৃত বিবরণে যাব না, বই ইতিমধ্যেই অনেক বড় হোয়ে গেছে। শুধু একটি মাত্র অনুগ্রহের, দানের উল্লেখ কোরবো।

প্রত্যেক সংগঠনেরই একটি কর্মসূচী থাকে। থাকতেই হয়, কারণ কর্মসূচী হোচ্ছে ঐ সংগঠনের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য অর্জনের প্রক্রিয়া, তরিকা। গত কয়েক শতাব্দী থেকে এই দ্বীনের পুনর্জাগরণের জন্য মুসলিম(Muslim) দুনিয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নসংগঠন জন্ম নিয়েছে। এই সমস্ত সংগঠনের প্রত্যেকেরই এক একটি কর্মসূচী আছে, ঐ সমস্ত সংগঠনের নেতারা চিন্তা-ভাবনা, আলাপ-আলোচনা, গবেষণা কোরে তাদের সংগঠনগুলির জন্য কর্মসূচী তৈরী কোরে সেই মোতাবেক তাদের সংগঠনগুলিকে পরিচালিত কোরেছেন তাদের যার যার অভিষ্ঠ লক্ষ্যের দিকে। সুতরাং হেযবুত তওহীদেরও একটি কর্মসূচীর প্রয়োজন ছিলো। জন্মের পর থেকে এক বছর পর্য্যন্ত এই সংগঠনের কোন কর্মসূচী ছিলো না। তারপর সর্বশ্রেষ্ঠ করুনাময় আল্লাহ(Allah) তার শেষ রসুলকে (দঃ) এই পৃথিবীতে তার দ্বীনুল হক্ককে প্রতিষ্ঠার জন্য যে পাঁচ দফা কর্মসূচী দান কোরেছিলেন এবং যে কর্মসূচীটি রসুল (দঃ) তার কর্মজীবনে সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত কোরে তার উম্মাহর ওপর অর্পন কোরে আল্লাহ(Allah)র কাছে চলে গিয়েছিলেন এবং তার উম্মাহ ৬০/৭০ বছর সেটাকে অনুসরণ করার পর তা ত্যাগ কোরেছিলো- সেই মহান কর্মসূচী আল্লাহ(Allah) এই হেযবুত তওহীদকে আবার নতুন কোরে উপহার দিয়েছেন। এবং দিয়েছেন এমনভাবে যাকে অলৌকিক ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। আজ পৃথিবীর সমস্ত সংগঠনের কর্মসূচী মানুষের তৈরী, আর হেযবুত তওহীদের কর্মসূচী, এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা স্বয়ং আল্লাহ(Allah)র তৈরী। আল্লাহ(Allah)র এই মহা অনুগ্রহের শুকরিয়া আদায় করার শক্তি আমাদের নেই।

আল্লাহ(Allah)র তৈরী কর্মসূচীকে বাদ দিয়ে লক্ষ মিটিং, মিছিল, শ্লোগান আর নির্বাচন কোরেও দ্বীন প্রতিষ্ঠা হবে না, মাথায় বিছানা আর বদনা নিয়ে লক্ষ মসজিদে ঘুরলেও দ্বীন প্রতিষ্ঠা হবে না। গত অর্দ্ধ শতাব্দী থেকে ওগুলি করা হোচ্ছে। আল্লাহ(Allah)র দ্বীন কোথাও প্রতিষ্ঠিত হয় নি, হবে না। রসুলাল্লাহর (দঃ) একদিন আসরের নামাযের পর হঠাৎ পূর্ব দিকে চেয়ে খুশী হোয়ে হাসলেন। সাহাবারা জিজ্ঞাসা কোরলেন তিনি অমন কোরে হাসলেন কেন? জবাবে বিশ্বনবী (দঃ) বোললেন- ভবিষ্যতে ইসলাম(Islam) বিকৃত হোয়ে যাবার পর হিন্দের (ভারতের) পূর্বে একটি সবুজ দেশ থেকে প্রকৃত ইসলাম(Islam) পুনর্জীবন লাভ কোরবে। পাঠক, পাঠিকাগণ! আপনারা মেহেরবাণী কোরে আল্লাহ(Allah)র রহমানুর রহীমের কাছে এই আবেদন করুন, যে সে দেশ যেন এই বাংলাদেশ হয় এবং যে সংগঠনের মাধ্যমে প্রকৃত দ্বীনুল ইসলাম(Islam) নবজীবন লাভ কোরবে সেটা যেন এই হেযবুত তওহীদ হয়। আমীন।





এই বই পড়ে যাদের হৃদয়তন্ত্রীতে আল্লাহর তওহীদের ঝংকার উঠবে, হেদায়াতের জন্য যাদের প্রাণ আকুল হবে তাদের জন্য যোগাযোগের ঠিকানা:-

হেযবুত তওহীদ, গ্রাম-করটিয়া, জেলা-টাঙ্গাইল।


31/32 P.K. Roy Road, Pustak Bhaban, Banglabazar, Dhaka.
Phone: 0167-0174643, 0167-0174651.
Email: info@hezbuttawheed.com

কোন মন্তব্য নেই: