রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১

******লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী

এ যামানার এমাম, এমামুয্‌যামান (The Leader of the time)



আল্লাহর দীন (দীনুল হক) প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রকৃত উম্মতে মোহাম্মদীর যে মোজাহেদগণ আরবের মরুপ্রান্তর থেকে এ উপমহাদেশে এসেছিলেন তাদেরই উত্তরসূরী যামানার এমাম, এমামুয্‌যামান (The Leader of the time) জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯২৫ সনে টাঙ্গাইলের করটিয়ার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী পন্নী পরিবারে শবে বরাতের শেষ রাত্রে জন্মগ্রহণ করেন ৷ গ্রামের স্কুলের পাঠ শেষে তিনি প্রথমে সা’দত কলেজ এবং পরে কোলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেন ৷ ছাত্র জীবনেই তিনি ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে যুক্ত হোয়ে পড়েন ৷ সেই সুবাদে মহাত্মা গান্ধী, কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, অরবিন্দু বোস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আল্লামা এনায়েত উল্লাহ খান মাশরেকী, মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদুদী এদের সংস্প আসেন ৷ ১৯৬৩ সালে তিনি প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য (এম.পি) নির্বাচিত হন৷


বুদ্ধি হবার পর থেকেই তিনি দেখতে পান সমস্ত মোসলেম জগত কোন না কোন পাশ্চাত্য প্রভুর গোলাম ৷ তখন থেকেই একটি প্রশ্ন তাঁর মনে নাড়া দিতে থাকে যে, মুসলমান বোলে পরিচিত জাতিটিই যদি আল্লাহর মনোনীত জাতি হোয়ে থাকে তাহোলে তাদের এই ঘৃণিত দাসত্বের কারণ কি? একসময় আল্লাহর অশেষ রহমে এ প্রশ্নের জবাব তিনি পেতে আরম্ভ কোরলেন ৷ একটু একটু কোরে, সারা জীবন ধোরে তিনি বুঝতে পারলেন কোথায় সেই শুভংকরের ফাঁকি, যে ফাঁকিতে পড়ে আজ যাদের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি হবার কথা--তারা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম জাতিতে পরিণত হোয়েছে ৷ তিনি বুঝলেন, চৌদ্দশ’ বছর আগে মহানবী যে দীনকে সমস্ত জীবনের সাধনায় আরবে প্রতিষ্ঠা কোরেছিলেন এবং পরবর্ত্তীতে তাঁর প্রকৃত উম্মাহ অর্দ্ধ পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা কোরেছিলেন, সেই দীনটি আর আজ আমরা ‘এসলাম ধর্ম’ বোলে যে দীনটি অনুসরণ কোরি এই দু’টি দীন পরস্পর-বিরোধী, বিপরীতমুখী দু’টো এসলাম ৷ ফলে রসুলের নিজ হাতে গড়া জাতিটি এবং বর্ত্তমানের মোসলেম জনসংখ্যাটিও সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী ৷ এসলামের সঠিক আকীদা, তওহীদের মর্মবাণী, এবাদতের অর্থ, মো’মেন, মোসলেম, উম্মতে মোহাম্মদী হবার শর্ত্ত, হেদায়াহ-তাকওয়া, সালাতের (নামায) সঠিক উদ্দেশ্য, দীন প্রতিষ্ঠার তরিকা পাঁচ দফা কর্মসূচি এবং কিভাবে তাকে প্রয়োগ কোরতে হয় ইত্যাদিসহ আরো বহু বিষয় তিনি আল্লাহর দয়ায় বুঝতে পারলেন ৷ রসুল ১৪০০ বছর আগে আখেরী যামানায় দাজ্জালের আবির্ভাব সম্পর্কে যে ভবিষ্যদ্বাণী কোরে গিয়েছেন সেইসব হাদীসের রূপক বর্ণনা থেকে প্রমাণ কোরলেন যে বর্ত্তমান ইহুদী-খ্রীস্টান যান্ত্রিক ‘সভ্যতা’ই হোচ্ছে সেই ভয়ঙ্কর দানব ৷ তিনি তার এ উপলব্ধিগুলি লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ কোরলেন এবং প্রকৃত এসলামকে সারা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে ‘হেযবুত তওহীদ’ নামে একটি আন্দোলনের সূচনা কোরলেন ৷ এই লক্ষ্যে তিনি তাঁর নিজের সমস্ত সম্পদ অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন এবং সামাজিক অবস্থানকে নির্দ্বিধায় পরিত্যাগ কোরেছেন ৷ তিনি এমন এক পরশপাথর যার সংস্পর্শ মানুষকে জান্নাতের শান্তি দেয় ৷ গত ১৬ বছর ধোরে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্যে দৃঢ়চেতা, আত্মপ্রত্যয়ী এ মহান ব্যক্তি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার বছরের ফেকাহ, তফসির আর ফতোয়ার পাহাড়ের নিচে যে সহজ-সরল (সেরাতুল মোস্তাকীম) এসলাম চাপা পড়ে রোয়েছে সেই এসলামকে তার মৌলিক, অনাবিল রূপে উদ্ধার কোরে মানুষের সামনে উপস্থিত কোরতে ৷

কোন মন্তব্য নেই: